রাতে পানাহার ইত্যাদি ব্যতিরেকে লাগাতার দুই বা ততোধিক দিন রোযা রাখাকে সাওমে বিসাল বলে (মা'আরিফুস্ সুনান)।
তবে এভাবে রোযা রাখা মাকরূহ (মারকিল ফালাহ্)।
উপরে যে সব নফল রোযার কথা উল্লেখ করা হয়েছে, এ ছাড়াও কিছু নফল রোযার বিবরণ হাদীস ও ফিকহ-এর কিতাব বর্ণিত রয়েছে। নিম্নে তা উল্লেখ করা হল:
রামাযানের পর শাওয়াল মাসে ছয়টি রোযা রাখা মুস্তাহাব। হাদীসে আছে, যে ব্যক্তি রামাযানের রোযা রাখার পর শাওয়াল মাসে ছয়টি রোযা রাখে সে যেন সারা বছরই রোযা রাখল। একাধারে বা পৃথক পৃথকভাবে -এর রোযা রাখা জায়িয আছে। অবশ্য পৃথক পৃথকভাবে রাখা উত্তম। এই রোযা সপ্তাহে দু'টি করে রাখা ভাল (মারাকিল ফালাহ্ ও আলমগীরী, ১ম খণ্ড)।
সোমবার এবং বৃহস্পতিবার রোযা রাখা মুস্তাহাব। হাদীসে আছে, রাসূলুল্লাহ্ (সা.) ইরশাদ করেন: সোমবার এবং বৃহস্পাতিবার মানুষের আমল আল্লাহর দরবারে পেশ করা হয়। অতএব আমি পসন্দ করি যেন রোযা অবস্থায় আমার আমল আল্লাহর দরবারে পেশ করা হয় (মারাকিল ফালাহ্)।
অধিকাংশ উলামায়ে কেরামের মতে জুমু'আর দিন রোযা রাখা মুস্তাহাব (আলমগীরী, ১ম খণ্ড)
প্রত্যেক সপ্তাহে বুধবার রোযা রাখা মুস্তাহাব। রাসূলুল্লাহ্ (সা.) এ দিনে রোযা রাখা জন্য সাহাবায়ে কিরামকে হুকুম করছেন (তিরমিযীঃ ১ম খণ্ড)।
এ ছাড়াও যে কোন দিন নফল রোযা রাখা যায়। যতবেশী রাখবে তত বেশী সাওয়াব পাবে।