হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রা) বলেছেন
রাসুলুল্লাহ (সঃ) এর জনৈক সাহাবী কোন এক কবরের ওপর তাবু স্থাপন করলেন । তাঁর জানা ছিল না যে সেখানে কবর রয়েছে । তিনি তাবুর অভ্যন্তরে বসা ছিলেন । এমনি সময় হঠাৎ তিনি ভুতলে জনৈক ব্যক্তির কোরআন মজিদের সুরা মূলক পাঠের কণ্ঠ শুনলেন । সে সমস্ত সূরাটি পাঠ করলেন । এই ঘটনা নবী করীম (সঃ) কে অবগত করা হলে তিনি বললেন , “এই সুরা কবরের আজাবকে বাধা দান করে , আর ওই লোককে আল্লাহ্র শাস্তি হতে নিরাপদ রাখছে ।
— তিরমিজি শরীফ
হযরত আবু হোরায়রা (রা) বর্ণনা করেন , রাসুলুল্লাহ (সঃ) বলেছেন , “কোরআন মজিদে এমন একটি সুরা রয়েছে , যার আয়াত সংখ্যা হচ্ছে তিরিশ । সে সুরাটি কারো জন্য আল্লাহ্র কাছে সুপারিশ করলে আল্লাহ্ তায়ালা তাঁকে ক্ষমা করে দেন । সে সূরাটি হচ্ছে সুরা মূলক । ( অর্থাৎ তাবা-রাকাল্লাজি বি ইয়া দী হিল মূলক
– তিরমিজি,আবু দাউদ
হযরত খালেক ইবনে মাদান (র) সুরা মূলক ও সুরা আলিফ লাম মিম সেজদা প্রসঙ্গে বলতেন, এই সুরা দুটি কবরে তাঁর পাঠক দের পক্ষ নিয়ে আল্লাহ্ তায়ালার সাথে বিতর্কে লিপ্ত হয় । তাঁরা প্রত্যেকেই আল্লাহ্ তা'আলার কাছে বলে , “হে আল্লাহ্ ! আমি যদি তোমার কিতাবের কালাম না হয়ে থাকি তাহলে আমাকে তোমার কিতাব হতে বিলিন করে দাও । “খালেদ ইবনে মাদান (র) আরও বলতেন , এই সুরা দ্বয় পাখির ন্যায় ডানা মেলে তাঁর পাঠককে ধাকে রাখে , কবর আজাব থেকে রক্ষা করে ।
— দারেমি , মেশকাত
উপরোক্ত বর্ণনা দ্বারা প্রতীয়মান হল যে , এ সুরা দুটি পাঠের ফলে , কবর আজাব থেকে রক্ষা পাওয়া যায় । অন্য এক হাদিসে আছে ,
নবী করীম (সঃ) শয্যায় এ দুটি সুরা পাঠ করা ছাড়া নিদ্রা যেতেন না ।
— তিরমিজি শরীফ
পূর্ববর্তী পেইজ | পরবর্তী পেইজ |
(০২২) যারা কবর আজাব থেকে নিরাপদে থাকবেন | (০২৪) পেটের অসুস্থতায় মৃত্যু হলে |
সূচীপত্র | এরকম আরো পেইজ |