আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাআ'তের আকিদা অনুযায়ী কবরের আযাব সত্য ও বাস্তব। পুণ্যবান মুমিনগণ কবরে যেরূপ শান্তি লাভ করেন এবং কেয়ামত পর্যন্ত সুখ-শান্তিতে অবস্থান করেন, তেমনিভাবে কাফের বেঈমান ও গুনাহগারও কবরে শাস্তি ভোগ করে। অসংখ্য হাদীস দ্বারা এ বিষয়টি প্রমাণিত।
হযরত আয়শা (রা)-এর কাছে জনৈক ইহুদী মহিলা এসে কবর আযাব প্রসঙ্গে আলোচনা করল এবং বলল, আল্লাহ তোমাকে কবর আযাব থেকে নিরাপদে রাখুন। অতঃপর আয়েশা (রা) কবর আযাব সম্পর্কে নবী করীম (সঃ) এর কাছে জিজ্ঞেস করলে তিনি এরশাদ করলেন نَعَمْ عَذَابُ الْقَبْرِ حَقٌّ : হাঁ কবর আযাবের বিষয়টি সত্য ও বাস্তব। আয়েশা (রা) বলেন, এর পর যখনই নবী করীম (সঃ) নামায পড়তেন, তখনই নামায শেষে আল্লাহ তাআ'লার কাছে কবর আযাব থেকে আশ্রয় প্রার্থনা করতেন।
-বোখারী, মুসলিম।
হযরত ওসমান (রা) যখনই কোন কবরের কাছে দাঁড়াতেন, তখনই তিনি এত বেশী কাঁদতেন যে, অশ্রুধারায় তার শুশ্রুমণ্ডলী ভিজে যেত। জিজ্ঞেস করা হল, জান্নাত ও জাহান্নামের আলোচনা হলে তো আপনি কাঁদেন না, অথচ কবর দেখে এত কাঁদেন কেন? হযরত ওসমান (রা) বললেন, রাসূলুল্লাহ (সঃ) বলেছেনঃ "নিঃসন্দেহে কবর হচ্ছে পরকালের মনজিল সমূহের মধ্যে প্রথম মনযিল। সুতরাং কবর আযাব হতে নাজাত পেলে তার পরবর্তী মনজিলগুলো তারচেয়ে অনেক সহজ হয়। আর যদি কবর আযাব হতে নাজাত না পায়, তা হলে পরবর্তী মনজিলগুলো তার তুলনায় অনেক কঠিন হয়।"
-তিরমিযী, ইবনে মাজা।
পূর্ববর্তী পেইজ | পরবর্তী পেইজ |
(০১৫) শহীদ হওয়ার কষ্ট পিপীলিকার কামড়ের ন্যায় | (০১৭) কবরে বিষধর সাপের দংশন |
সূচীপত্র | এরকম আরো পেইজ |