জিব্রাইল (আঃ)-এর বিদায় গ্রহণের পর তিন বৎসর পর্য্যন্ত কোরআন নাযিল বন্ধ ছিল। বিষয়টি ছিল খুবই অসহনীয়। ইমাম বায়হাকী ইমাম শাবী (রাঃ) থেকে বর্ণনা করেছেন-এই তিন বৎসর সময়ে হযরত ইস্রাফিল (আঃ) নবীজীর খেদমতে বিভিন্ন দোয়া ও বিষয় নিয়ে নাযিল হতেন। তিন বৎসর পর পুনঃ কোরআন নাযিল শুরু হয় এবং পরবর্তী বিশ বৎসরে তা সম্পন্ন হয়। এই মধ্যবর্তী তিন বৎসর সময়কে ফাত্রাতুল ওহী বা ওহী বিরতি সময় বলা হয়। এই সময়ে কোরাইশদের পক্ষ থেকে কোন বাধা আসেনি। তিন বৎসর পর যখন জিব্রাইল (আঃ) নিম্নোক্ত আয়াত নিয়ে পুনঃ আগমন করেন-
يَا أَيُّهَا الْمُدَّثَرْقُمْ فَانْذِرُ الحَ
অর্থ-"হে প্রিয় কম্বলধারী নবী। প্রস্তুত হোন এবং লোকদেরকে শতর্ক করুন"
তখন থেকেই নবী করিম (দঃ) দাওয়াতী কাজ শুরু করেন এবং প্রথমে নিজ পরিবার পরিজন ও আত্মীয়-স্বজনদেন নিকট ইসলামের বানী পৌঁছাতে থাকেন। প্রিয় নবীর (দঃ) চাচা আবু লাহাব ইসলাম গ্রহণের পরিবর্তে প্রকাশ্যে শত্রুতা করতে আরম্ভ করে। তাঁর স্ত্রী উম্মে জামিল নবীজীর যাতায়াতের পথে কাটা বিছিয়ে রাখতো। আপন ঘরেই প্রথম শত্রু পয়দা হলো।
পূর্ববর্তী পেইজ | পরবর্তী পেইজ |
(০২৮) নবুয়্যতের অভিষেক বা দায়িত্ব অর্পণ | (০৩০) আবু লাহাব ও উম্মে জামিলের পরিণতি |
সূচীপত্র | এরকম আরো পেইজ |