হুজুর আকরম (সঃ) এর সীনার পশম মুবারকের বর্ণনায় হজরত আলী মুর্তজা (কাঃ) বলেন, তাঁর বুকের পশম ছিলো [আরবী] 'যু মুসারতিবা'। হজরত ইবন আবী হালা (রাঃ) এর বর্ণনায় [আরবী] 'দাকীক মুসারাতিবা’ ঐ পশম রাজিকে বলা হয় যা সীনার উপর থেকে নাভী পর্যন্ত লম্বিত থাকে। হুজুর আকরম (সঃ) এর উক্ত পশমরাজি সরু ছিলো বিধায় তাকে [আরবী] ‘খাইত’ বা ডোরা শব্দ দিয়ে ব্যাখ্যা করা হয়েছে। সাররাহ কিতাবে [আরবী] মাসরুবাহ্' র বর্ণে পেশ দিয়ে বর্ণনা করা হয়েছে। যার অর্থ বক্ষ ও নাভীর মধ্যবর্তী স্থানের পশম। ‘মুসারিতিবা’ শব্দটি বাহ্যত [আরবী] 'সারবুন' থেকে নির্গত, যার অর্থ হচ্ছে রাস্তা। বক্ষের নিম্নাংশ, যেখান থেকে পেট আরম্ভ সে স্থান ছিলো লোমমুক্ত। এ সম্পর্কে হাদীছ শরীফে বর্ণনা এসেছে, তাঁর বক্ষের দু'প্রান্ত এবং পেট মুবারকে [আরবী] 'সারনুবাহ' নামক পশম ব্যতীত আর কোনো পশম ছিলো না। শরীরের অন্যান্য অঙ্গে পশম ছিলো, যার বর্ণনা হাদীছ শরীফে এরূপ এসেছে—হুজুর পাক (সঃ) এর বাহুদ্বয়, বাজুদ্বয়, স্কন্ধদ্বয়, সীনা মুবারকের ঊর্ধাংশ ও টাখনু পর্যন্ত দু' পেত্তলী পশম ছিলো । হুজুর পাক (সঃ) এর শরীর মুবারকের পশম সংক্রান্ত বর্ণনায় যে ‘পশমহীন হওয়া' এর বর্ণনা পাওয়া যায়, তা বস্তুত পশমাবৃত দেহ না হওয়াকে বুঝানোর জন্য এসেছে।
পূর্ববর্তী পেইজ | পরবর্তী পেইজ |
(০২১) পূতপবিত্র উদর | (০২৩) পবিত্র বগল |
সূচীপত্র | এরকম আরো পেইজ |