হুজুর আকরম (সঃ) এর গর্দান শরীফের বর্ণনায় ইবন আবী হালা (রাঃ) কর্তৃক বর্ণিত হাদীছে এসেছে, হুজুর আকরম (সঃ) এর গর্দান মুবারক চান্দির মত স্বচ্ছ উজ্জ্বল ও পুতুলের মত সুন্দর ছিলো। [আরবী] ‘দুমইয়াতুন' শব্দটির দাল অক্ষরে পেশ ও মীমের মাঝে সাকিন দিয়ে পড়তে হবে। যার অর্থ হচ্ছে ঐ পুতুল যা হাতীর দাঁত কেটে তৈয়ার করা হয়। নেহায়া কিতাবে এরকমই বর্ণিত হয়েছে। আর কামুস গ্রন্থে বলা হয়েছে, সাদা হাড় থেকে তৈরীকৃত পুতুল হচ্ছে [আরবী] ‘দুমইয়া’। নবী করীম (সঃ) কে কোনো পুতুল বা মূর্তির সাথে তুলনা করাটা বাহ্যত আদবের খেলাফ বলে মনে হয় । কিন্তু মূর্তির মধ্যে যে চরম নিপুনতা ও শৈল্পিক দিক ফুটে উঠে, সে দিকে লক্ষ্য করেই এ তুলনা উপস্থাপন করা হয়েছে। নেহায়া কিতাবে এরূপ বর্ণনা করা হয়েছে। শামায়েলে তিরমিযীর হাশিয়াতে বর্ণনা এসেছে [আরবী] ‘আদ্দুমাইয়াতু আলগাযাল'। ‘দুমাইয়া' হরিণকে বলা হয়। অন্য বর্ণনা অনুসারে ‘দুমাইয়া' হরিণের বাচ্চাকে বলা হয়। তবে অভিধানের গ্রন্থসমূহে এরকম উল্লেখ নেই । আল্লাহ্পাক এ ব্যাপারে সর্বাধিক জ্ঞাত।
হাদীছ শরীফে ব্যবহৃত [আরবী] 'ফীসেফায়িল ফিদ্দাতে' বাক্যটি দ্বারা গর্দান মুবারকের গুণাবলী প্রকাশ করা হয়েছে বলে প্রতীয়মান হয়। মাওয়াহেবে লাদুন্নিয়ার অন্য এক বর্ণনায় উক্ত হয়েছে, হজরত আবু হুরায়রা (রাঃ) বলেন, রসূলল্লাহ (সঃ) এর গর্দান মুবারক এমন শুভ্র ছিলো যেনো রূপা দিয়ে তৈরী । এ সমস্ত বর্ণনা দ্বারা বুঝা যায়, হুজুর আকরম (সঃ) এর বৈশিষ্ট্যসমূহের মধ্যে এটি ছিলো একটি স্বতন্ত্র বৈশিষ্ট্য ।
পূর্ববর্তী পেইজ | পরবর্তী পেইজ |
(০১৬) আনা শরীফ | (০১৮) মুবারক স্কন্ধদ্বয় |
সূচীপত্র | এরকম আরো পেইজ |