ইহা সৃষ্টিকর্তার ইসম যাত বা সত্তা-বাচক নাম । এতভিন্ন আল্লাহর কতগুলি আস্মা সিফাৎ বা গুণবাচক নাম আছে । যথা, রাহমান, রাহিম, মালিক, খালিক ইত্যাদি । উহাদিগকে আল-আসমাউল হুসনা বলা হয় । আল্লাহ্ শব্দটি ব্যক্তি নাম, ইহার কোণ দ্বিবচন বা বহুবচন নাই । আল্লাহ কুরআনে নিজের সম্পর্কে পুরুষবাচক ক্রিয়া, বিশেষণ ও সর্বনাম ব্যবহার করিয়াছেন । এই নাম দ্বারা একমাত্র সেই অদ্বিতীয়, অনন্ত, সর্ব-শক্তিমান সৃষ্টিকর্তাকেই বুঝায় । অধিকাংশ আলিমের মতে এই শব্দটি কোন বিশেষ ধাতু হইতে উৎপন্ন নহে, আরবি ভাষায় ইহার হুবহু অর্থজ্ঞাপক কোন প্রতিশব্দ নাই । অন্য কোন ভাষায় আল্লাহ্ নামের অনুবাদ হয় না । সুতরাং "খোদা" বা "God" বা "ঈশ্বর" ইত্যাদি কোনটাই আল্লাহ্র সম্যক পরিচয় বহন করে না । অন্যপকে আল্লাহ্ নামের সহিত দ্বিত্ববাদ বা অংশীবাদের কোন সংস্রব নাই । কুরআনের নির্দেশ-
আল্লাহ্র কতগুলি সুন্দর নাম আছে, সেইগুলি দ্বারা তাহাকে সম্বোধন করো
— সূরা ৭ , আয়াত ১৮০
বলুনঃ আল্লাহ বলে আহবান কর কিংবা রহমান বলে, যে নামেই আহবান কর না কেন, সব সুন্দর নাম তাঁরই।
— সূরা ঈশরা , আয়াত ১১০
ইহাতে বুঝা যায়, কোন মুসলিমের পক্ষে আল্লাহ্ এবং তাহার আল-আসমাউল হুসনা ছাড়া অন্য কোন নামে তাহাকে ডাকা আল্লাহ্র অভিপ্রেত নহে ।